আগামীর প্রয়োজনে, শরিয়াহ্ মোতাবেক টাকা জমান ঢাকা ব্যাংকে, মুনাফা পান | বিকাশ

আগামীর প্রয়োজনে, শরিয়াহ্ মোতাবেক টাকা জমান ঢাকা ব্যাংকে, মুনাফা পান

ঘরে বসে, কাগজপত্রের ঝামেলা ছাড়াই বিকাশ অ্যাপের 'সেভিংস' সার্ভিস থেকে খুব সহজে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের সাথে শুরু করতে পারবেন শরিয়াহ মোতাবেক ইসলামিক ডিপিএস। এই স্কিমের আওতায় প্রতিমাসে টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে ঢাকা ব্যাংকে জমা হবে এবং মেয়াদ শেষে মুনাফাসহ আসল টাকা চলে আসবে আপনার বিকাশ একাউন্টে! শুধু তাই নয়, মেয়াদ শেষে মুনাফাসহ সম্পূর্ণ টাকা ক্যাশ আউট করতে কোনো খরচও লাগবেনা।

ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ইসলামিক ডিপিএসের বিস্তারিত

  • জমার পরিমাণ: প্রতিমাসে ৫০০/১,০০০/২,০০০/২,৫০০/৩,০০০/৫,০০০/১০,০০০ টাকা
  • ডিপিএসের মেয়াদ: ১/২/৩/৪ বছর
  • মুনাফা: মাসশেষে দ্য ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড দ্বারা ধার্য হবে
  • দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী এআইটি ও আবগারি শুল্ক প্রযোজ্য হবে

জেনে নিন বিকাশ অ্যাপ দিয়ে কীভাবে ইসলামিক ডিপিএস শুরু করবেন?

১। বিকাশ অ্যাপের হোমস্ক্রিন থেকে 'সেভিংস' বাটনে ট্যাপ করুন

২। এখন ‘নতুন সেভিংস খুলুন’-এ ট্যাপ করুন

৩। ইসলামিক ডিপিএস বেছে নিন

৪। ডিপিএস এর ধরন (মাসিক), মেয়াদ (১/২/৩/৪ বছর) ও প্রতিমাসে যে পরিমাণ টাকা জমাবেন (৫০০/১,০০০/২,০০০/২,৫০০/৩,০০০/৫,০০০/১০,০০০) তা সিলেক্ট করুন

৫। ব্যাংকের তালিকা থেকে ঢাকা ব্যাংক পিএলসি বেছে নিন

৬। ঢাকা ব্যাংকের মোট জমার তথ্য দেখে এগিয়ে যান

৭। আপনার নমিনি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে এগিয়ে যান

৮। ডিপিএসের সার-সংক্ষেপ দেখে নিশ্চিত করুন

৯। নিয়ম ও শর্তাবলি ভালোভাবে পড়ে, বুঝে আপনার সম্মতি দিন

১০। আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন দিন

১১। সবশেষে - স্ক্রিনের নিচের অংশ ট্যাপ করে ধরে রাখুন

১২। ডিপিএসের রিকোয়েস্টটি সম্পন্ন হলে, বিকাশ ও ঢাকা ব্যাংক থেকে কনফার্মেশন ম্যাসেজ পাবেন

১৩। ব্যাস! আপনি সফলভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে খুলে ফেললেন আপনার ইসলামিক ডিপিএস। প্রতিমাসের নির্দিষ্ট তারিখে আপনার বিকাশ একাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স রাখুন এবং কোনো খরচ ছাড়াই মেয়াদ শেষে মুনাফাসহ মোট পরিমাণ ক্যাশ আউট করুন!

 

ইসলামিক ডিপিএস সম্পর্কিত নিচের বিষয়গুলো অবশ্যই জেনে নিন

  • আপনার বিকাশ অ্যাপ থেকে আপনি একাধিক ডিপিএস খুলতে পারবেন
  • ডিপিএসে নমিনির তথ্য প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করতে পারবেন
  • ডিপিএসের জন্য বিকাশ/ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের পক্ষ থেকে কোনো লুকানো/অতিরিক্ত চার্জ নেই
  • আপনার ই-টিন এর তথ্য ডিপিএসে প্রদান করলে আপনি ডিপিএসে অর্জিত লাভের উৎসে কর কম কর্তন করা হবে। এক্ষেত্রে ডিপিএসের মেয়াদ শেষ হবার আগে আপনি বিকাশ অ্যাপের সেভিংস অপশনে গিয়ে যেকোনো সময় ই-টিন এর তথ্য প্রদান করতে পারবেন। আর ই-টিন না থাকলে, এনবিআর-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে তা গ্রহণ করুন: https://secure.incometax.gov.bd/TINHome
  • বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান অধ্যাদেশ অনুসারে নিম্নলিখিত হার প্রযোজ্য হবে: আয়কর রিটার্ন জমাদানের প্রমাণ ঢাকা ব্যাংকে জমা দেয়া থাকলে মুনাফার উপর ১০% কর উৎসে কাটা হবে, অন্যথায় ১৫% কর উৎসে কাটা হবে
  • ৩ মাস পূর্ণ হবার আগে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের সাথে কোনো ডিপিএস বাতিল করা সম্ভব নয়। তবে আপনি ৩ মাস শেষে যেকোনো সময় এনক্যাশমেন্টের জন্য রিকোয়েস্ট করতে পারবেন
  • আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন এবং ভেরিফিকেশন কোড কখনো কারো সাথে শেয়ার বা প্রকাশ করবেননা। আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন, ওটিপি এবং অন্যান্য তথ্য যদি অন্য কেউ ব্যবহার করে এবং প্রতারণামূলকভাবে এই সঞ্চয় সুবিধা বাতিল করে দেয় তবে বিকাশ-এর কোনো দায় বহন করবেনা
  • আপনি যদি মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই আপনার ডিপিএস বন্ধ করতে চান, তবে আপনি আপনার নির্বাচিত ডিপিএস অনুযায়ী সম্পূর্ণ মুনাফা নাও পেতে পারেন। অর্জিত মুনাফা সম্পর্কিত আরো তথ্যের জন্য অনুগ্রহ করে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের শর্তাবলি দেখুন
  • বিকাশ নির্ধারিত তারিখে গ্রাহকদের আমানত/কিস্তির পরিমাণ সংগ্রহের অধিকার সংরক্ষণ করে। আপনার বিকাশ গ্রাহক একাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালান্স/অর্থ না থাকলে বা কিস্তির টাকা একাউন্ট থেকে কেটে নেওয়ার সময় আপনার একাউন্ট সক্রিয় না থাকলে লেনদেন ব্যর্থ হবে এবং এক্ষেত্রে পরবর্তী সাত দিন বিকাশ আপনার একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি আপনার বিকাশ একাউন্টে অপর্যাপ্ত ব্যালেন্স/একাউন্ট স্থিতি থাকার কারণে অথবা একাউন্ট সক্রিয় না থাকার কারণে কিস্তির টাকা কেটে নেওয়া সম্ভব না হয়, তবে আপনি উক্ত দিনের মুনাফা পাবেননা
  • যদি কিস্তি সংগ্রহের সর্বশেষ চেষ্টা ব্যর্থ হয়, তবে তবে আপনি কিস্তি প্রদানে ব্যর্থ হয়েছেন বলে গণ্য হবে এবং উক্ত আমানতের পরিমাণের উপর আপনি মুনাফা পাবেননা
  • বিকাশ কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই যেকোনো সময় উল্লিখিত শর্তাবলি পরিবর্তন বা সংশোধন করার অধিকার সংরক্ষণ করে
সার্ভিসেস
হেল্প