রুখবো প্রতারক, রাখবো টাকা নিরাপদ
রুখবো প্রতারক, রাখবো টাকা নিরাপদ
- কখনোই বিকাশ একাউন্টের পিন/ভেরিফিকেশন কোড কাউকে বলবো না বা কলে থাকা অবস্থায় টাইপ করবো না।
- এজেন্ট সেজে ভুলে টাকা এসেছে বা ভুল অভিযোগে একাউন্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে বললে কল কেটে দিবো।
- বিকাশ কর্মকর্তা সেজে ভয়/লোভ দেখালে কল কেটে দিবো।
- অনুদান বা ভাতার কথা বলে কল বা মেসেজ দিলে তা এড়িয়ে যাবো।
- অনলাইনে যত্রতত্র উপহার বা অফারের লিংকে যেতে বললে যাবো না।
- ইমো, মেসেঞ্জার, হোয়াটস আ্যপে পরিচিত কেউ হঠাৎ টাকা চাইলে আগে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে নিবো।
গ্রাহকদের প্রতারণা ও ঝুঁকিমুক্ত ডিজিটাল আর্থিক সেবা প্রদানে বিকাশ সর্বদা সচেষ্ট ও বদ্ধপরিকর। আপনাদের অর্থ ও ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা এবং প্রতারণা এড়ানোর জন্য সচেতনতা সৃষ্টি করা আমাদের লক্ষ্য। মনে রাখবেন সচেতনতাই প্রতারণা প্রতিরোধের সর্বোত্তম হাতিয়ার। কি কি উপায়ে প্রতারক চক্র আপনাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলতে পারে এবং প্রতারিত হয়ে গেলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
প্রতারণার ধরণসমূহ
- বিকাশ একাউন্ট ব্লক হয়ে গিয়েছে বলে ভুয়া কল
প্রতারক আপনাকে নকল বিকাশ এজেন্ট সেজে ফোন করে এবং দাবি করে যে বিকাশ এর কাছে অভিযোগ করে অন্য বিকাশ একাউন্টের পরিবর্তে ভুলবশত আপনার একাউন্ট ব্লক করে দিয়েছে। এরকম কোনো কল পেলেই বুঝবেন সে প্রতারক।
- অনুদান/ভাতা/উপবৃত্তির ভুয়া কল বা মেসেজ
প্রতারকচক্র আপনাকে ভুয়া তথ্য যেমন: বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, সরকারি অনুদান, উপবৃত্তি, পল্লী বিদ্যুৎ সুবিধা ইত্যাদি পাবেন বলে মেসেজ দিয়ে কিছু নির্দিষ্ট নাম্বারে ফোন করে যোগাযোগ করতে বলে অথবা সরাসরি কল করে। প্ররোচিত হয়ে তাদের কথামত কাজ করলেই আপনি প্রতারণার শিকার হয়ে যেতে পারেন।
- একাউন্ট আপডেট/তথ্য হালনাগাদ
প্রতারক আপনাকে নতুন সার্ভিস চালু করা, বিকাশ একাউন্টের তথ্য হালনাগাদ না করলে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে এরকম বিভ্রান্তিমূলক কথা বলে আপনার বিকাশ একাউন্টের গোপন তথ্য জেনে নেবার চেষ্টা করে।
- ইমো (IMO)/মেসেঞ্জার (Messenger)/হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)
প্রতারকচক্র আপনার পরিচিত কেউ সেজে অথবা পরিচিত কারো ইমো (IMO)/মেসেঞ্জার (Messenger)/ হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp) ইত্যাদি একাউন্ট হ্যাক করে আপনাকে মেসেজ দেয় এবং ভুয়া/বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের মাধ্যমে তাদের দেয়া একটি বিকাশ নাম্বারে সেন্ড মানি/ক্যাশ ইন করার জন্য অনুরোধ করে। অনুরোধের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা যাচাই না করেই টাকা ক্যাশ ইন বা সেন্ড মানি করলে, আপনি প্রতারণার শিকার হবেন।
- ভুয়া অফার/বিজ্ঞাপন
প্রতারক ফেসবুক পোস্ট বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিকাশের বিভিন্ন উপহার বা অফারের কথা বলে ফর্ম ফিল আপ করতে বলে এবং ফর্মে কৌশলে আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন এবং ভেরিফিকেশন কোড জেনে নেই। পরবর্তীতে আপনার একাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে ফেলে।
- অনলাইন কেনাকাটায় অগ্রীম লেনদেন
প্রতারক ফেসবুক পোস্ট বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় বা সেবার নামে অগ্রীম কিছু টাকা বা ডেলিভারী চার্জ দিতে বলে। অনেক সময় পরবর্তীতে সেই পণ্য বা সেবা আর দেয় না বা একটি পণ্যের বদলে অন্য একটি পণ্য/ ত্রুটিযুক্ত পণ্য পাঠিয়ে দেয়। সুতরাং অনলাইন কেনাকাটায় যত্রতত্র অফারের লোভে পড়ে বিকাশের মাধ্যমে অগ্রীম টাকা লেনদেন করলে প্রতারকদের কবলে পরতে পারেন।
প্রতারিত হয়ে গেলে করণীয়
আপনার যদি মনে হয় আপনি প্রতারণার শিকার হয়ে গেছেন, তাহলে দ্রুত নিম্নলিখিত পদক্ষেপ অনুসরণ করুন:
- প্রথমেই, বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭-এ কল করে অথবা অন্যান্য গ্রাহক সেবার মাধ্যমে ব্যাপারটি বিকাশ কর্তৃপক্ষকে দ্রুত অবহিত করুন। প্রতারণা সংঘটনের সময়কাল এবং যেভাবে আপনাকে প্রতারিত করা হয়েছে সেই ঘটনা বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করুন।
- আপনার বিকাশ একাউন্টের পিনটি (PIN) দ্রুত পরিবর্তন করে ফেলুন। পিন পরিবর্তনের সময় নতুন পিনটি কারো সাথে শেয়ার করবেন না। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে আপনি বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭ এ কল করে অথবা বিকাশের অন্যান্য গ্রাহক সেবার মাধ্যমে সহায়তা নিতে পারেন।
আপনার জিজ্ঞাসা বা অভিযোগ সংক্রান্ত যেকোনো প্রয়োজনে বিকাশ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমঃ
- বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭ এ কল করে
- আপনার নিকটস্থ গ্রাহক সেবা কেন্দ্র বা গ্রাহক সেবায় যোগাযোগ করে
- বিকাশ ওয়েবসাইটের লাইভ চ্যাট আইকনে ট্যাপ করে
- ই-মেইল-[email protected]
- অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ-https://www.facebook.com/bkashlimited